অর্থনৈতিক প্রতিবেদক :
অর্থবছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে এনবিআর আমদানি-রপ্তানি শুল্ক বাবদ ৭ হাজার ৬৮২ কোটি ২ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। যেখানে ওই দুই মাসে এই খাতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ হাজার ৬০২ কোটি টাকা।
অর্থাৎ প্রথম দুই মাসে শুল্কবাবদ অতিরিক্ত ৮০ কোটি ২ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে এনবিআর। সংস্থাটির শুল্ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
এ বিষয়ে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তা বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটে অন্তত ২০০ পণ্যে ট্যারিফ মূল্যের ন্যূনতম সীমা বেঁধে দেওয়া ও আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির কারণে শুল্ক আদায়ে এ সাফল্য এসেছে। এর আগে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে কম মূল্যে পণ্য আমদানি করে শুল্ক ফাঁকির সুযোগ ছিল। বাজেটে ওই উদ্যোগ নেওয়ার কারণে অন্তত হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত শুল্ক আদায় বেড়েছে। এ ছাড়া বেড়েছে পণ্য আমদানির পরিমাণ।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি এবং দেশি শিল্পের স্বার্থ রক্ষার্থে ৭০টি এইচএস কোডের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়। একই সঙ্গে ১২টি এইচএস কোডে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। আমদানি শুল্ক এবং সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে ২ শতাধিক পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়। শুল্ক স্ল্যাব পাঁচ স্তর থেকে বাড়িয়ে করা হয় ছয় স্তর। বিদ্যমান শুল্ক স্ল্যাব ছিল ০, ১, ৫, ১০ ও ২৫। এটা অব্যাহত রেখে ১৫ শতাংশের একটি নতুন স্ল্যাব সংযোজন করা হয়।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে এনবিআরকে ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হযেছে। এর মধ্যে আয়কর খাতে ৭১ হাজার ৯৪০ কোটি, মূল্য সংযোজন করে (মূসক/ভ্যাট) ৭২ হাজার ৭৬৪ কোটি এবং আমদানি-রপ্তানি শুল্কে ৫৮ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে।