নিজস্ব প্রতিবেদক :
অভিযোগ গঠনের ফলে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। আগামী ২৪ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এ সময় কারাগারে আটক পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। অভিযোগ গঠনের সময় পাঁচ আসামি নিজেদেরকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম চৌধুরী, তার ভাই এম এ আবদুল মতিন, মো. সোহেল ওরফে ভাঙ্গারি সোহেল, তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল ওরফে শ্যুটার রুবেল, রাসেল চৌধুরী ওরফে চাক্কি রাসেল, মিনহাজুল আরেফিন রাসেল ওরফে ভাগনে রাসেল ও শাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরিফ।
আসামিদের মধ্যে কাইয়ুম চৌধুরী এবং ভাঙ্গারি সোহেল পলাতক।
গত ২৮ জুন কাইয়ুমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ঢাকা সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ডিবি পুলিশ।
মামলাটিতে তামজিদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল ও শাখাওয়াত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আসামি রাসেল চৌধুরী ও মিনহাজুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চার্জশিটে হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে এম এ মতিনের নাম আসে। তবে মতিন রিমান্ডে ডিবির কাছে তাবেলা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেও আদালতে স্বীকারোক্তি দেননি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর সড়কে জগিং করার সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন ইতালিয়ান নাগরিক ও নেদারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিওবিডির কর্মকর্তা তাবেলা সিজার। তাবেলা নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক আইসিসিও কো-অপারেশন নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রফিটেবল অপরচুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি (প্রুফ) কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন।