আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় মসুল শহর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় অন্তত ৬০ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত ও ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। রাশিয়া এ খবর জানিয়ে বলেছে, উগ্র তাকফিরি জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশের নিয়ন্ত্রণে থাকা শহরটিতে গত তিন দিনের মার্কিন বিমান হামলায় এসব মানুষ হতাহত হয়েছে।
রুশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান অপারেশনাল কমান্ডার লে. জেনারেল সের্গেই রুদস্কয় এ খবর জানিয়ে বলেছেন, হতাহতদের মধ্যে বহু নারী ও শিশু রয়েছে। তিনি বলেন, ইরাকি সেনাবাহিনীর মসুল মুক্ত করার অভিযানের ওপর রাশিয়া গভীর নজর রাখছে। কিন্তু এ সময়ে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের পক্ষ থেকে দায়েশ বিরোধী অভিযানে তেমন কোনো সাফল্য দেখতে পায়নি মস্কো।
জেনারেল রুদস্কয় বলেন, দায়েশের বিরুদ্ধে হামলা না চালালেও মার্কিন জোটের পক্ষ থেকে মসুলের আবাসিক ভবন ও স্কুলসহ অন্যান্য বেসামরিক স্থাপনায় ব্যাপকভাবে বোমাবর্ষণ করতে দেখা যাচ্ছে।
এ ধরনের ঘটনার উদাহরণ দিতে গিয়ে এই রুশ জেনারেল বলেন, “২১ অক্টোবর মসুলের দক্ষিণ অংশে অবস্থিত ‘হজ ইউনুস’ গালর্স স্কুলে বোমাবর্ষণ করে একটি মার্কিন জঙ্গিবিমান। পরের দিন মসুল থেকে ২০ কিলোমিটার পূর্বে কারাকুশ এলাকার একটি বাড়িতে এবং ১৫ কিলোমিটার দূরে হাজনা এলাকার একটি আবাসিক ভবনে হামলা চালায় মার্কিন জঙ্গিবিমান।”
মসুলে ইরাকি সেনাবাহিনীর চলমান অভিযান থেকে রক্ষা পেতে দায়েশ জঙ্গিরা সিরিয়ায় পালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান লে. জেনারেল সের্গেই রুদস্কয়। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তিনশ’র বেশি দায়েশ সন্ত্রাসী সিরিয়ার দেইর আয যোর প্রদেশে পালিয়ে গেছে।
এর আগে গত সপ্তাহে সিরিয়ার সেনাবাহিনী সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, ইরাক থেকে দায়েশ জঙ্গিদের সিরিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার নিরাপদ রুট তৈরি করে দিচ্ছে আমেরিকা ও সৌদি আরব ।