নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশে কোনো মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। আমরা প্রথম তা তৈরি করে দিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য দেশের ৮টি বিভাগে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা।
বুধবার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) ১৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করে দিয়েছি আমরা। ১৯৯৬ সালে আমরা এগুলো তৈরি করেছিলাম। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত এগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করে দিয়েছি। স্থানীয় পর্যায়ে যাতে মানুষ সেবা পেতে পারে আমরা সেই কাজ করেছি। এখন বিনা মূল্যে অনেক ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। দেশের মানুষ এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সারা দেশে আমরা সার্ভে করে হাসপাতালগুলোতে শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি করেছিলাম। আমরা উল্লেখযোগ্য হারে ডাক্তার, নার্স নিয়োগ দিয়েছি। থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নার্সদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। আমরা সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশদের জন্য আলাদা হাসপাতাল করে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মাতৃকালীন ছুটি ৬ মাস করে দিয়েছি। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে পোলিওমুক্তির সনদ পেয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশ পোলিওমুক্ত, টিটেনাসমুক্ত। আমরা একদিকে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি, আবার পুষ্টির দিকেও লক্ষ রেখেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিটা মানুষ যাতে সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, জনগণের মৌলিক চাহিদা যাতে পূরণ হয় সেই ব্যবস্থা আমরা করছি। ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাদের ঘরবাড়ি নেই, তাদের তালিকা তৈরি করা। ঘরহীন মানুষদের আমরা ঘর তৈরি করে দেব। প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা এ বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। এখন দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭১ বছর হয়েছে। দেশে শিশুমৃত্যু হার, মাতৃমৃত্যু হার কমিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য এসডিজি বাস্তবায়ন করা। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়া।’
তিনি চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, ‘চিকিৎসা পেশা নয়, এটা মহান ব্রত। আমরা চাই রোগীদের চিকিৎসাসেবা ভালোভাবে দেবেন। চিকিৎসকের মুখের কথাও অর্ধেক রোগ ভালো হয়ে যায়। মানুষের সেবা করার মনোভাব নিয়ে চিকিৎসা করবেন।’