নিজস্ব প্রতিবেদক :
বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এই আদেশ দেন। তবে সাব্বির শিকদারের খালাসের আদেশ স্থগিত করা হয়নি।
আদালতে সখীপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, ওসির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর স্কুলশিক্ষার্থী সাব্বির শিকদারকে মোবাইল কোর্টে দেওয়া দুই বছরের সাজা বাতিল করে ওই ইউএনও ও ওসিকে ঢাকা বিভাগ থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তাদেরকে অন্য জায়গায় বদলির আদেশ দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে ইউএনও ও ওসি কর্তৃক সাব্বিরকে নির্যাতনের বর্ণনা অভিযোগ হিসেবে গ্রহণ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে সখীপুরের ইউএনও রফিকুল ইসলাম ও থানার ওসি মাকসুদুল আলম কর্তৃক নির্যাতনের বর্ণনা দেন দণ্ডপ্রাপ্ত ছাত্র সাব্বির।
গত ২০ সেপ্টেম্বর সাব্বিরকে মোবাইল কোর্টে কারাদণ্ড ঘটনায় ওই ইউএনও ও ওসিকে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেন হাইকোর্ট।
স্থানীয় সাংসদ সম্পর্কে ফেসবুকে মন্তব্যে বালককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে একটি ইংরেজি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতের নজরে আনলে হাইকোর্ট এই আদেশ দেন।
সে অনুযায়ী তারা হাজির হয়ে আদালতে ব্যাখ্যা দাখিল করেন।
সাব্বির শিকদার সখীপুরের প্রতিমা বঙ্কি গ্রামের বাসিন্দা শাহিনুর আলমের ছেলে।