Monday , 23 December 2024
নিউজ টপ লাইন
মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ চালু হচ্ছে কাল

মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ চালু হচ্ছে কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুনঃখনন শেষে মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ (চ্যানেল) বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হচ্ছে।

এ নৌপথ চালু হলে দূরত্ব কমবে প্রায় ৮৬ কিলোমিটার। আগের মতোই এই চ্যানেল দিয়ে নৌযানগুলো উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করতে পারবে। এতে সুন্দরবন রক্ষা পাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে চ্যানেলটি উদ্বোধন করবেন। একই সঙ্গে নবনির্মিত ১১টি ড্রেজারও উদ্বোধন করবেন তিনি।

উদ্বোধনকালে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান গণভবনে এবং নৌ সচিব অশোক মাধব রায় ও বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক খুলনার বাগেরহাট প্রান্তে উপস্থিত থাকবেন।

সমুদ্র পথে বিদেশ থেকে আমদানি করা মালামাল সমুদ্র উপকূল অতিক্রম করে অভ্যন্তরীণ নৌপথ দিয়ে দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে পরিবহন এবং বাংলাদেশ-ভারত নৌ-প্রটোকল রুটে নৌযান চলাচলের জন্য মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। নৌ-পরিবহন চ্যানেলের উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান নৌ-প্রটোকল চুক্তির আওতায় নৌযান চলাচল সহজ ও সুগম হবে। দেশের আমদানি-রপ্তানি এবং পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে প্রাণ ফিরে আসবে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথের দূরত্ব ৩১ কিলোমিটার। এর মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ ২৬ কিলোমিটার খনন করেছে। ড্রেজার দিয়ে ১৮১.৮০ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং করা হয়েছে। ড্রেজিং করা অংশে পলি ভরাটের কারণে সংরক্ষণ খননের আওতায় ৬২.১২ লাখ ঘনমিটার পুনঃখনন করা হয়েছে। বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএর তিনটি ড্রেজার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাঁচটি ড্রেজার সংরক্ষণ ড্রেজিংয়ে নিয়োজিত আছে।

সূত্র জানায়, পুনঃখনন করে নৌপথটি চালুর ফলে ৮১ কিলোমিটার দূরত্ব কমে গেছে। এ ছাড়া মংলা-ঘষিয়াখালীর রমজানপুর এলাকায় একটি লুপ কাট করায় আরো পাঁচ কিলোমিটার দূরত্ব কমেছে।

জানা গেছে, ২০১৪-২০১৫ সালে ১৮টি ড্রেজার ও ১৫টি এক্সকাভেটর দিয়ে পুনঃখনন করা হয়। অভ্যন্তরীণ নৌপথের ৫৩টি রুটে ক্যাপিটাল ড্রেজিং (১ম পর্যায় ২৪টি নৌপথ) খনন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

নৌ মন্ত্রণালয় জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২-৭৪ সালে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি খননের মাধ্যমে প্রথম উন্মুক্ত করেন। ১৯৮০ দশকে মংলা-ঘষিয়াখালী সংযুক্ত খালগুলোর মুখ বন্ধ করে চিংড়ি চাষ ও বিভিন্ন পোল্ডার নির্মাণ করায় ভরাট প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০১ সালের পর থেকেই এ চ্যানেলের নাব্যতা সংকট শুরু হয় এবং ২০১০ সাল থেকে পুরোপুরি শুকিয়ে এটি বন্ধ হয়ে যায়।

নৌপথটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সুন্দরবনের ভেতরের নদী দিয়ে নৌযানগুলো চলাচল করতে থাকে। এতে সুন্দরবনের পরিবেশ সংকটাপন্ন হতে শুরু করে। সুন্দরবন রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর দিকনিদের্শনা অনুযায়ী পুনরায় ২০১৪ সালের ১ জুলাই থেকে নৌপথটি খনন শুরু করা হয়।

বিআইডব্লিউটিএর নবনির্মিত আটটিসহ মোট ১২টি ড্রেজার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ছয়টি ড্রেজার ২০১৪ সালের জুনে নিয়োগ করে মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথটি পুনঃখনন শুরু করা হয়। নৌপথটি পুনঃখনন করার পর ২০১৫ সালের মে মাস থেকে পরীক্ষামূলভাবে খুলে দেওয়া হয় এবং ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন গভীরতায় মোট ৩৫ হাজার ১৫টি জাহাজ এ নৌপথে চলাচল করেছে। নৌপথটি ১৩-১৪ ফুট গভীর ও ২০০-৩০০ ফুট প্রশস্ত করে তৈরি করা হয়েছে।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

সর্বশেষ নিউজ

ফেসবুক পেইজ The Daily Neighbour

ডেইলি নেইবার আর্কাইভ

October 2016
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
Scroll To Top