নিজস্ব প্রতিবেদক :
বুধবার মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষ্য গ্রহণ পেছানোর জন্য আবেদন করেন।
ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান শুনানি শেষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
গত ১৪ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার আসামিরা হলেন- ভবনের মালিক সোহেল রানা, তার বাবা আব্দুল খালেক ওরফে কুলু খালেক, মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার মেয়র রেফাত উল্লাহ, কাউন্সিলর মোহাম্মাদ আলী খান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান রাসেল, নিউওয়েব বাটন লিমিটেডের চেয়ারম্যান বজলুস সামাদ আদনান, সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. সারোয়ার কামাল, আমিনুল ইসলাম, নিউওয়েব স্টাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুর রহমান তাপস, ইথার টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান ওরফে আনিসুজ্জামান, সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মাহবুবুল আলম, প্রাক্তন সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, নগর পরিকল্পনাবিদ ফারজানা ইসলাম, নান্টু কন্ট্রাকটর এবং রেজাউল ইসলাম।
২০১৫ সালের ১ জুন রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় হত্যা ও ইমারত নির্মাণ আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিনিয়র এএসপি বিজয় কৃষ্ণ কর।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে পড়ে। ধ্বংসস্তূপ থেকে ১ হাজার ১১৭ জনকে মৃত উদ্ধার করা হয়। ২ হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ১৯ জন মারা যান। মৃতদের মধ্যে ৮৪৪ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডিএনএর নমুনা রেখে ২৯১টি লাশ জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়। যাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন ৭৮ জন।