বিনোদন ডেস্ক: আয়নাবাজি পাইরেসির ঘটনায় রবির সিকিউরিটির দুর্বলতা ছিলো। রবি তাদের সার্ভারে আয়নাবাজি আপলোড করেছিল। সেখান থেকেই মূলত: লিক হয়ে যায়। এ ঘটনায় রবির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না কিনা জানতে চাইলে সিনেমাটির চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক সৈয়দ গাউসুল আজম বলেন, ‘আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেই রবির বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের(ডিএমপি) মিডিয়া এণ্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আজ বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে এ কথা বলেন তিনি।
রাজধানীর বাড্ডার এলাকা থেকে আয়নাবাজি সিনেমার পাইরেসির সঙ্গে জড়িত অভিযোগে কাউন্টার টেরোরিজমের সাইবার ক্রাইম ইউনিট কর্তৃক আতিকুর রহমান অভি নামে এক যুবককে আটকের পর এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিএমপি।
সংবাদ সম্মেলনে আয়নাবাজি সিনেমাটির লেখক ও প্রযোজক সৈয়দ গাউসুল আজম বলেন, ‘এখন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে ভূমিকা পালন করছে তা সত্যিই গর্ব করার মতো ব্যাপার।’
তিনি আরো বলেন, ‘আয়নাবাজি ছিলো একটি ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র। এটি গত ৪ সপ্তাহ ধরে হলে হাউজ ফুল শো হচ্ছে। সর্বশেষ কোন সিনেমাটি এতো দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল আমার জানা নেই। কিন্তু এই ছবিটি পাইরেসির শিকার হয়ে একটা বড় রকমের ধাক্কার মুখোমুখি হলো।’
শাওন বলেন, ‘রবি’র সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তি ছিলো। চুক্তি অনুযায়ী সিনেমাটি তারা তাদের সার্ভারে আপলোড দেয়। কিন্তু তারা সিকিউরিটি শক্তিশালী বলেই চুক্তি করেছিল। কেউ সিনেমাটি ডাউনলোড দিতে পারবে না বলে জানিয়েছিল। কিন্তু সত্যিকার অর্থে তাদের সিকিউরিটি ছিলো দুর্বল। সিকিউরিটি দুর্বলতা সুযোগে সিনেমাটি পাইরেসির শিকার হয়েছে। এক্ষেত্রে রবির সরাসরি সহযোগীতা না থাকলেও রবির দুর্বলতা ছিল।’
রবির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে সিনেমা’টির লেখক ও প্রযোজক সৈয়দ গাউসুল আজম বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে রবির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো।’
প্রসঙ্গত, সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি’র মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান, কাউন্টার টেরোরিজমের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সিনিয়র এসি নাজমুল ইসলাম।