নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা আজ বলেছেন, সব রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত।
এ টিএম শামসুল হুদা বলেন, “অতীতে কখনো সমস্ত রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠন করা হয় নি। বিশেষ করে বিরোধী দলের সাথে কোন পরামর্শ করা হয় না। তার ফলে যে কমিশন গঠন করা হয়, শুরু থেকেই তা একটা বৈরিতার মুখে পড়ে। “
তিনি বলেন, এর ফলে যে দলই নির্বাচনে পরাজয়ের সম্মুখীন হয়, তারাই বলে যে ‘কমিশন ঠিকমত কাজ করে নি, এরা বৈধ কমিশন নয়’ -ইত্যাদি নানা নেতিবাচক কথাবার্তা হয়। “সেটা যেন না হয়, তাই উচিত হবে সবগুলি রাজনৈতিক দলের সাথে কথা বলে, তাদের সম্মতি নিয়ে – এই প্যানেলটা তৈরি করা।”
“তারপর এই প্যানেল থেকে রাষ্ট্রপতি কমিশনারদের বাছাই করে নিতে পারেন। সব রাজনৈতিক দলেরই যেহেতু এতে অংশগ্রহণ থাকবে – তাই এটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে”।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে যে পদ্ধতি – তাতে সব নির্বাচন কমিশনারই একসাথে নিয়োগ পান এবং এক সাথে অবসরে যান। তাদের মেয়াদ ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হচ্ছে। যদি সুষ্ঠুভাবে একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হয়, বা আমরা এটা যেভাবে হওয়া উচিত বলে বলছি – তা সময় সাপেক্ষ হবে।”
“যেবার আমরা চলে গেলাম – তার পরের কমিশন গঠন করার সময় যে সার্চ কমিটি করা হয়েছে তা অত্যন্ত দ্রুততার সাথে হয়েছে” – বলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মি. হুদা। তিনি বলেন, সার্চ কমিটি যাদের নাম তুলে আনবেন তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক যেন সঠিক ভাবে হয় – এটা নিশ্চিত করাই তাদের প্রধান কাজ বলে তিনি মনে করেন।
“তারা কী ধরনের লোক, তাদের কোন রাজনৈতিক এ্যাফিলিয়েশন (সংশ্লিষ্টতা) ছিল কিনা , তাদের পূর্বতন চাকরিতে তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ছিল কিনা – এগুলো দেখে লোক নির্বাচন করা উচিত। এবং এটা করতে গেলে আপনাকে সময় দিতে হবে ” – বলেন মি. হুদা।
তিনি বলেন, যদি সততা এবং নিরপেক্ষতা সম্পন্ন লোক আনতে হয় – তাহলে তাদের ব্যাকগ্রাউন্ডটা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমেও জানা যেতে পারে। তবে সে জন্যও সময় দরকার। “সে জন্যই আমরা বলছি যে এ প্রক্রিয়া এখন থেকেই শুরু হওয়া উচিত, যাতে তারা যথেষ্ট সময় পান। গতবার এ সময়টা পাওয়া যায় নি।”বিবিসি বাংলা