চট্টগ্রাম অফিস : প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে স্থানীয় সরকারের পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, খুব কম সময়ের নোটিসেও স্থানীয় সরকারসহ যেকোনো নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রস্তুত রয়েছে।
রকিবউদ্দীন আহমদ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান। নির্ভুল স্মার্টকার্ড প্রদানের লক্ষ্যে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, মিউনিসিপ্যালটির ক্ষেত্রে প্রথম সভার তারিখ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর মেয়াদ। মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন আগে নির্বাচন হবে। সব পৌরসভায় এক দিনে নির্বাচন হবে না।
তিনি বলেন, দুটি বিশেষ কারণে চট্টগ্রামে মতবিনিময় সভা করেছি। প্রথমটি হচ্ছে- আমরা নারী ভোটারদের অধিক হারে নিবন্ধনের লক্ষ্যে সহায়তা করতে চাই। দ্বিতীয়টি- মৃত ব্যক্তিদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া।
সভায় নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন, অর্থ ও ট্রাফিক) এ কে এম শহীদুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা চট্টগ্রামে স্পেশাল ড্রাইভ দিচ্ছি যাতে ভোটার তালিকা থেকে কেউ বাদ না পড়েন। হালনাগাদের বিষয়টিও চলমান প্রক্রিয়া। বাদপড়াদের জন্য নির্বাচন কমিশনের দুয়ার খোলা আছে। স্মার্টকার্ড ব্যয়বহুল। তাই সময় নিয়ে ভুলত্রুটিমুক্ত করতে চাই।
সংবিধান ও আইনে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব স্পষ্ট এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, পার্লামেন্ট আইন করে, সে অনুযায়ী আমরা নির্বাচন করি। মিউনিসিপ্যালিটির ক্ষেত্রে প্রথম সভার তারিখ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর মেয়াদ। মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন আগে নির্বাচন হবে। সব পৌরসভায় এক দিনে নির্বাচন হবে না।
রোহিঙ্গা ও আটকে পড়া পাকিস্তানীদের ভোটার হওয়া প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, দেশের বৈধ নাগরিক ছাড়া কেউ যাতে ভোটার হতে না পারে সে ব্যাপারে চট্টগ্রামের নির্বাচন কর্মকর্তাদের কঠোর নজর রাখতে বলেছি। এরপরও তালিকা তৈরির পর ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি থেকে জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন কার্যালয়েও তা টাঙিয়ে দেওয়া হবে। যাতে কারও বিরুদ্ধে আপত্তি থাকলে চিহ্নিত করা যায়। এরপর যাচাই-বাছাই হবে। – See more at: http://www.abnews24bd.com/2015/11/02/88003.php#sthash.09G0KzVi.dpuf