নিজস্ব প্রতিবেদক :
একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সকালে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণাকালে বদি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বদির পক্ষের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান লিখন রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
গত ১৯ অক্টোবর আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করেন বিচারক। এর আগে গত ১০ আগস্ট দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।
গত ২৯ জুন শুনানিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। ওই দিন তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে একটি লিখিত বক্তব্য আদালতে দাখিল করেন। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ১৫ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামার বাইরে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকার অবৈধ সম্পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কম মূল্যে সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখানোর অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. আবদুস সোবহান রমনা থানায় গত ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট মামলাটি করেন।
এ ঘটনায় গত বছরের ৭ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মঞ্জিল মোর্শেদ আদালতে বদির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে বদির বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৯৪২ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয়।
এর মধ্যে বলা হয়েছে, তিনি দুদকের কাছে ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। মামলাটিতে তিনি ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর এমপি বদিকে ছয় মাসের জামিন দেন বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।