আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আমেরিকার নির্বাচনে দেশটির অন্যতম বৃহৎ অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার পছন্দের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন হেরে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবি জোরদার হয়েছে। মার্কিন অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৫টি ইলেকটোরাল ভোটের অধিকারী হচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়া। সেখানে হিলারি ক্লিনটন বিজয়ী হওয়ার পরও প্রেসিডেন্ট হতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এরপরই ‘ইয়েস ক্যালিফোর্নিয়া ইনডিপেনডেন্স ক্যাম্পেইন’ নামে একটি সংগঠন স্বাধীন হওয়ার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচার শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের হয়ে আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার এ প্রক্রিয়া পরিচিতি পেয়েছে ‘ক্যালেক্সিট’ নামে।
গত জুলাইয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের আলাদা হওয়ার প্রক্রিয়া ‘ব্রেক্সিটে’র নাম অনুসরণ করেই এই নাম দেয়া হয়েছে। এই সংগঠন ২০২০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেরিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে ক্যালিফোর্নিয়াকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সংগঠনটি এই অঙ্গরাজ্যকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য বেশ আগে থেকেই প্রচারণা চালিয়ে আসছিল।
তবে এবারের নির্বাচনের পর তাদের পক্ষে সমর্থন বাড়তে শুরু করেছে। ইয়েস ক্যালিফোর্নিয়া সংগঠনের প্রধান লুইস ম্যারিনেলি বলেছেন,এখন এ অঙ্গরাজ্যের বহু মানুষ তাদের কাছে চিঠি পাঠাচ্ছেন। অনেকেই স্বাধীনতার জন্য গণভোট চেয়ে তাঁদের তৈরি দাবিনামার অনলাইন সংস্করণ দেখতে চেয়েছেন বলে তিনি জানান।
ইয়েস ক্যালিফোর্নিয়া সংগঠনের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,‘বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহৎ অর্থনীতির অঞ্চল হচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়া। অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে ফ্রান্সের চেয়ে শক্তিশালী। জনসংখ্যা পোল্যান্ডের চেয়ে বেশি। শুধু আমেরিকার অন্য ৪৯টি অঙ্গরাজ্যের সঙ্গেই নয়, বিভিন্ন বিবেচনায় যেকোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনাযোগ্য অঞ্চল হচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়া।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়,‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন অনেক মূল্যবোধ আছে,যেগুলোর সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়ার বিরোধ রয়েছে। এভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হিসেবে থাকার অর্থ হলো, আমরা অন্য অঙ্গরাজ্যগুলোর জন্য অব্যাহতভাবে আমাদের ক্ষতি করে যাব,আমাদের শিশুদের অকল্যাণ বয়ে আনব।”
এ অবস্থায় ইয়েস ক্যালিফোর্নিয়া সংগঠনের নেতা ও সমর্থকরা আশা করছেন, তাদের প্রতি অঙ্গরাজ্যের অধিবাসীদের সমর্থন বৃদ্ধির ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে এবং ক্যালিফোর্নিয়া একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হবে।