ম্যাচের শেষভাগে উত্তেজনা ছড়াল অনেক। ৮৬ মিনিটে মারামারি করে লাল কার্ড দেখলেন মহসিন আলী ও লাল্লিয়াঞ্জুয়ালা চাংতে। দুই মিনিট পর ডি–বক্সের বেশ বাইরে থেকে গড়ানো এক শটে গোলও করে ফেললেন হাসান বাশির। ৮০ মিনিট ধরে হা–পিত্যেশ করা পাকিস্তান দল দম ফিরে পেল। করে চলল একের পর এক আক্রমণ। কিন্তু শেষের এই লড়াইয়ের ছাপ পুরা ম্যাচে না থাকার দায় নিয়েই মাঠ ছারতে হয়েছে পাকিস্তানকে। প্রতিবেশীদের ৩-১ গোলে হারিয়ে আরেকটি সাফের ফাইনালে ভারত।
ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ মানেই একটি শব্দ ব্যবহার, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু ফুটবলে দুই দলের এতটাই ফারাক যে এ শব্দ এখানে বড্ড হাস্যকর শোনায়। দুই দেশের আগের ২৩ দেখায় ভারত জিতেছে ১৪টি ম্যাচে, আর হেরেছে মাত্র ৩ বার। এ পরিসংখ্যানকে ২৪ ম্যাচে ১৫ বানিয়ে নিয়েছে ভারত। সেটাও মাত্র ২১ মিনিটের মধ্যে।
গোলশূন্য প্রথমার্ধ বিরক্তি ছড়িয়েছিল। তাতে বৃষ্টিভেজা মাঠের অবদান ছিল। এ মাঠেই মাত্র ঘণ্টাখানেক আগে হয়ে যাওয়া আরেকটি ম্যাচেরও অবদান ছিল। তবে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল দুই দলের অগোছালো ফুটবলের। সাফে নিজেদের আগের ম্যাচগুলোর মতোই দ্বিতীয়ার্ধে গোছানো ফুটবল খেলেছে জাতীয় দলের মোড়কে নামা ভারতের অনূর্ধ্ব–২৩ দল। ৪৮ মিনিটে আশিক কুরুনিয়ানের নিচু এক ক্রসে দারুণ প্লেসিংয়ে গায়ে লেগে থাকা ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেন মানবীর সিং (১-০)।
২১ মিনিট পরেই ভারতের ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেললেন এই ফরোয়ার্ড। প্রতি–আক্রমণে ওঠা ভারত দলের বদলি নামা লাল্লিয়াঞ্জুয়ালা চাংতে থেকে বল পেয়েছিলেন ভিনিত রাই। তাঁর পাস থেকে পোস্টের ডান কর্নারে বল পাঠিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেললেন মানবীর (২-০)।
৮৪ মিনিটে পাকিস্তানের সব আশা শেষ করে দিয়েছেন বদলি নামা সুমিত পাসসি। প্রথম গোলের কারিগর কুরুনিয়ানের দারুণ এক ক্রসে লাফিয়ে উঠে হেড করলেন এই স্ট্রাইকার। পাকিস্তানের গোলরক্ষক গোল আটকানোর কোনো সুযোগ পেলেন না (৩-০)। এরপরই সেই লড়াইয়ের উত্তেজনা ছড়ানো ঘটনা। ৮৮ মিনিটে ভারতীয় রক্ষণের ভুলে ডি-বক্সের বাইরে বল পেয়েই জোরালো শট নিয়েছেন বাশির। হতভম্ব ভারতীয় গোলরক্ষক দেখলেন তাঁর পাশ দিয়ে বল জালে ঢুকে পড়েছে!
শেষ দিকে উজ্জীবিত পাকিস্তান ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করা ভারত পাকিস্তানকে সে সুযোগ দেয়নি।