Monday , 23 December 2024
নিউজ টপ লাইন
রাখাইন পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে সামলানো যেত: সু চি

রাখাইন পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে সামলানো যেত: সু চি

রাখাইনের পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে সামাল দেয়া যেত বলে মন্তব্য করেছেন মিয়ানমারের বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চি। দেশটির সেনাবাহিনীর জাতিগত নিপীড়নের এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে বৃহস্পতিবার আসিয়ান নিয়ে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে সু চি বলেন, এখন ভাবলে মনে হয়, কিছু উপায় অবশ্যই ছিল, যার মাধ্যমে পরিস্থিতিটা আরও ভালোভাবে সামাল দেয়া সম্ভব ছিল।

তবে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের খবর প্রকাশ করায় বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দুই প্রতিবেদকের কারাদণ্ডের পক্ষে সাফাই গেয়ে তিনি বলেন, তাদের প্রতি ন্যায়সঙ্গত আচরণই করা হয়েছে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের লাগাম টেনে ধরার অভিযোগে যখন বিশ্বব্যাপী মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠছে, তখন এই শান্তিতে নোবেলজয়ী বলেন, সাংবাদিক বলেই তাদের কারাদণ্ড দেয়া হয়নি। আদালত মনে করেছেন, তারা দেশের গোপনীয়তার আইন লঙ্ঘন করেছেন।

তিনি বলেন, তাদের কারাদণ্ডের সঙ্গে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই। উন্মুক্ত আদালতেই তাদের বিচার করা হয়েছে। আমি মনে করছি না, যে কেউ বিচারের ওই রায়ের সংক্ষিপ্তসার পড়লে বিরক্তবোধ করবেন। এর সঙ্গে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই।

নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েক ডজন স্থাপনায় একযোগে হামলার পর গত বছর ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে সেনাবাহিনীর ওই দমন অভিযান শুরু হয়। সেই সঙ্গে শুরু হয় এশিয়ার এ অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকট।

গত এক বছরে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও এখনও প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কথায় উঠে এসেছে রাখাইনে তাদের গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভয়াবহ বিবরণ।

জাতিসংঘের একটি স্বাধীন তথ্যানুসন্ধান মিশনের প্রতিবেদনে সম্প্রতি বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গণহত্যার অভিপ্রায় থেকেই রাখাইনের অভিযানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটিয়েছে।

ওই প্রতিবেদন আসার পর জাতিসংঘের বিদায়ী মানবাধিকার হাইকমিশনার জাইদ রা’দ আল হুসেইন বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নৃশংস দমন অভিযানের ঘটনায় মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির পদত্যাগ করা উচিত ছিল।

অবশ্য মিয়ানমার বরাবরই সেসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলে আসছে, তাদের অভিযান ছিল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, যারা গত বছর ২৫ আগস্ট নিরাপত্তা বাহিনীর স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল।

হ্যানয়ের সম্মেলনে সু চি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আমরা যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা চাই, আমাদের হতে হবে পক্ষপাতহীন। কেবল নির্দিষ্ট কোনো পক্ষকে আইনের শাসনে সুরক্ষা দেয়ার কথা আমরা বলতে পারি না।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

সর্বশেষ নিউজ

ফেসবুক পেইজ The Daily Neighbour

ডেইলি নেইবার আর্কাইভ

September 2018
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
Scroll To Top