Monday , 23 December 2024
নিউজ টপ লাইন
চিত্রকরসহ চাঁদে অভিযান চালাতে চান জাপানি কোটিপতি

চিত্রকরসহ চাঁদে অভিযান চালাতে চান জাপানি কোটিপতি

স্পেস এক্সের রকেটজাপানের অনলাইন ফ্যাশন জগতের কোটিপতি ইউসাকু মেসাওয়া ২০২৩ সাল নাগাদ চন্দ্রাভিযানে যেতে চান। মার্কিন বেসরকারি রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের রকেটে করে তিনি চন্দ্রাভিযানে যাবেন। স্পেসএক্সের রকেটে করে চন্দ্রাভিযানে যাওয়া প্রথম ব্যক্তি হবেন তিনি। এ উপলক্ষে অর্থ পরিশোধ করেছেন তিনি। তবে টাকার পরিমাণ প্রকাশ করা হয়নি।

এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপোলো অভিযানের পর ইউসাকু মেসাওয়া (৪২) হবেন প্রথম চন্দ্র অভিযানে যাওয়া ব্যক্তি।

মেসাওয়ার ব্যাপক অর্থ খরচ করে চন্দ্রাভিযানে যাওয়ার বিশেষ উদ্দেশ্য আছে। তিনি তাঁর সঙ্গে ছয় থেকে আটজন প্রিয় চিত্রকর নিতে চান। তাঁরা পৃথিবীতে ফেরার পর বিশেষ চিত্রকর্ম তৈরি করবেন। এই চিত্র মানুষকে স্বপ্ন দেখার অনুপ্রেরণা দেবে বলে মনে করেন মেসাওয়া।

আধুনিক চিত্রকর্মের অনুরাগী মেসাওয়া জাপানের বৃহত্তম অনলাইন শপিং মলের প্রধান নির্বাহী। ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, তাঁর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার। জাপানের ১৮তম শীর্ষ ধনী তিনি।

গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় স্পেসএক্সের কার্যালয়ে মেসাওয়া বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই চাঁদের প্রতি আমার আকর্ষণ রয়েছে। আমার সারা জীবনের স্বপ্ন চাঁদে পাড়ি দেওয়া।’

ষাট থেকে সত্তরের দশকে অ্যাপোলো অভিযানে এখন পর্যন্ত চাঁদের কক্ষপথে যাঁরা গেছেন, তাঁদের সবাই মার্কিন নাগরিক। এখন পর্যন্ত ২৪ জন নাসার নভোচারী চাঁদে গেছেন। তাঁদের মধ্যে ১২ জন চন্দ্রপৃষ্ঠে হেঁটেছেন।

নিজের অর্থ খরচ করে মহাকাশ ভ্রমণে যাওয়া প্রথম পর্যটক হলেন ডেনিশ টিটো। ২০০১ সালে মার্কিন এ ব্যবসায়ী দুই কোটি ডলার খরচ করে রাশিয়ার একটি মহাকাশযানে চড়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন।

স্পেসএক্সের নভোযানে চড়ে চাঁদে যাওয়ার আগ্রহ দেখানো মেসওয়া সম্পর্কে স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক বলেছেন, ‘মেসাওয়া একজন সাহসী ও সেরা অভিযাত্রী। তিনি সামনে এগিয়ে এসেছেন এবং আমাদের বেছে নিয়ে সম্মান দিয়েছেন।’

চাঁদে যাওয়ার জন্য মেসাওয়া কত টাকা দিয়েছেন, সে তথ্য জানাতে তিনি নারাজ। তবে তিনি বলেছেন, যে চিত্রকরেরা চাঁদে যাবেন, তাঁদের ভ্রমণ খরচ লাগবে না। তবে এটা পরিষ্কার করে বলা যায়, এটা বিপজ্জনক। এটা পার্কে হাঁটার মতো কোনো বিষয় নয়।

মাস্ক নিজেও চাঁদে যাবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্ভাবনা আছে। তবে তা নিশ্চিত নয়।

স্পেসএক্সের তৈরি বিগ ফ্যালকন রকেটে (বিএফআর) করে মহাকাশে পাড়ি দেবেন তাঁরা। অবশ্য আগামী পাঁচ বছরের আগে মনুষ্যবাহী ওই রকেট তৈরি হচ্ছে না। ২০১৬ সালে এ রকেটের ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, রকেটের ইতিহাসে এটাই হবে সবচেয়ে শক্তিশালী।

গত বছর মাস্ক বলেছিলেন, ২০২২ সালে বিএফআরের লক্ষ্য হচ্ছে মঙ্গল গ্রহে পরীক্ষামূলকভাবে ফ্লাইট পরিচালনা করা। ২০২৪ সালে মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।

এর আগেও চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন মাস্ক। গত বছর তিনি ঘোষণা দেন, ২০১৮ সালে চাঁদের কক্ষপথে পর্যটক পাঠাবেন। কিন্তু তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবে সফল হয়নি। মাস্ক ১১৮ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি রকেটের নকশা দেখিয়েছেন। এটি তৈরিতে ৫০০ কোটি ডলার খরচ হবে।

বাসের মতো ওই নভোযানে ১০০ মানুষ ধরবে।

স্পেসএক্স ছাড়াও মহাকাশ পর্যটন নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ী রিচার্ড ব্র্যানসনের ভার্জিন গ্যালাক্টিক ও আমাজনের জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন। নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে মহাকাশে ১০ মিনিট বা তার কাছাকাছি সময়ে ভরশূন্য থাকার অনুভূতি দেয় প্রতিষ্ঠান দুটি।

একটি ট্রিপের জন্য ভার্জিন খরচ নেয় আড়াই লাখ ডলার। তবে ব্লু অরিজিনের খরচের বিষয়টি প্রকাশ্যে বলে না।

রাশিয়া ও চীনের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মহাকাশ পর্যটন নিয়ে কাজ শুরু করেছে।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

সর্বশেষ নিউজ

ফেসবুক পেইজ The Daily Neighbour

ডেইলি নেইবার আর্কাইভ

September 2018
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
Scroll To Top