গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে পদ্মায়। আবারো তীব্র স্রোত ও নাব্যতা সংকটের কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচলে সৃষ্টি হয়েছে চরম অচলাবস্থা।
গতকাল সোমবার রাত থেকে অধিকাংশ ফেরি বন্ধ হয়ে কোনমতে ৩-৪ টি ফেরি স্রোতের প্রতিকূলে দীর্ঘ সময় নিয়ে চলছে। এতে উভয় ঘাটে সাত শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ায় যাত্রী ও শ্রমিকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
বিআইডাব্লিউটিসিসহ একাধিক সূত্রে জানা যায়, পদ্মায় অব্যাহত হারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের লৌহজং টার্নিংয়ে তীব্র ঘূর্ণিস্রোত সৃষ্টি হয়েছে। সেইসঙ্গে উজানে ব্যাপক নদী ভাঙনের পলি তীব্র স্রোতে ভেসে এসে নাব্যতা সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে ফেরি চলাচলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে সোমবার সকাল থেকেই।
সোমবার রাত পর্যন্ত এ রুটের ছয়টি ডাম্ব ফেরি, একটি রো রো ফেরিসহ অধিকাংশ ফেরি বন্ধ হয়ে যায়। রাত থেকে একটি রো রো ফেরিসহ ৩-৪ টি ফেরি ধারণ ক্ষমতার কম যানবাহনসহ দ্বিগুণেরও বেশি সময় নিয়ে কোনমতে চলছে। ফেরি পারাপারে অচলাবস্থায় উভয় ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। কাঁঠালবাড়ি ঘাটে যাত্রীবাহী পরিবহন, কাঁচামালবাহী ট্রাকসহ চার শতাধিক যানবাহনসহ উভয় ঘাটে সাত শতাধিক যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন আটকে যাত্রী ও শ্রমিকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের মাস্টার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শিমুলিয়া ঘাট থেকে ধারণ ক্ষমতার কম যানবাহন নিয়ে সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় ছেড়ে আসি। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে পার হতে না পেরে আবার শিমুলিয়ায় ফেরত যাই। জোয়ারের সময় অনেক কষ্ট করে পার হয়ে দুপুর ৩টায় কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এসে পৌঁছাই। নদীতে অনেক স্রোত ও নাব্যতা সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ পরিস্থিতিতে রো রো ও ডাম্ব ফেরি চালানো সম্ভব নয়।
বিআইডাব্লিউটিসি’র কাঁঠালবাড়ি ঘাট ম্যানেজার আ. সালাম বলেন, পদ্মায় তীব্র স্রোত ও উজান থেকে নদী ভাঙনের পলি এসে লৌহজং টার্নিংয়ে নাব্যতা সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। তাই রো রো ও ডাম্ব ফেরি বন্ধ রয়েছে। এতে ঘাট এলাকায় কিছু যানবাহন আটকে পড়েছে। যে কয়েকটি ফেরি চলাচল করছে আমরা সেসব ফেরিতে যাত্রীবাহী যানবাহন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করছি।