তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন চেয়ে করা আবেদনের ওপর আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে। তাঁর জামিন চেয়ে করা আবেদনটি আগামী রোববার কার্যতালিকায় আসবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কথা জানান।
১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ওই মামলায় শহিদুল আলমের জামিন নাকচ করেন। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার আবেদনটি আদালতে দাখিল করা হলে আজ বুধবার আবেদনটি তালিকায় আসবে বলে জানানো হয়। এ অবস্থায় আবেদন কার্যতালিকায় না আসার বিষয়টি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শহিদুলের আইনজীবী।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও তানিম হোসেইন। পরে তানিম হোসেইন প্রথম আলোকে বলেন, শহিদুল আলমের জামিন আবেদনের বিষয়টি কার্যতালিকা না আসা বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আদালত বলেছেন, আগামী রোববার থেকে আবেদনটি কার্যতালিকায় থাকবে। আগামী সপ্তাহের যেকোনো দিন এ জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় গত ৬ আগস্ট শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এর আগের দিন রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে তাঁকে তুলে নেয় ডিবি। সাত দিনের রিমান্ড শেষে গত ১২ আগস্ট শহিদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নিম্ন আদালত।
ওই মামলায় গত ৬ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। ১৪ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হলে ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখেন। এরপর ১৯ আগস্ট শুনানির তারিখ এগোনোর জন্য আবেদন করা হলে তা গ্রহণ করা হয়নি। ২৬ আগস্ট শহিদুল আলমের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চাইলে ওই আদালত শুনানির জন্য তা গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় ২৮ আগস্ট হাইকোর্টে তাঁর জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। ২৯ আগস্ট আবেদনটি শুনানির জন্য আরজি জানানো হয়। ৪ সেপ্টেম্বর আবেদনটির ওপর শুনানিতে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চের একজন বিচারপতি বিব্রতবোধ করেন।