বাহরাইনকে ১০ গোলে হারানোর পর লেবাননকে ৮-০ গোলে হারালেন বাংলাদেশের মেয়েরা। বুধবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে এএফসি কিশোরী ফুটবলে লেবাননের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেন বাংলাদেশ অদম্য মেয়েরা।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৫-০ গোলে। জোড়া গোল করেছেন সাজেদা তহুরা, শামসুন্নাহার। একটি করে গোল করেছেন আনাই ও রোজিনা। এ জয়ে বাংলাদেশ দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে।
ম্যাচের প্রথম ১৪ মিনিটেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এ সময় ডি বক্সের সামনে বলদখলের লড়াইয়ে মনিকা চাকমা বল পেয়ে আলতো করে বাড়িয়ে দেন সামনে। সেখানে বলের দখল নেন সাজেদা। তিনি লেবাননের গোলরক্ষককে পরাস্ত করে ডানপাশ দিয়ে বল জালে পাঠান।
১৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। এ সময় শামসুন্নাহার জুনিয়র বল নিয়ে বক্সে ঢুকলেও রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের কারণে সুবিধা করতে পারছিলেন না। তাই ডানপাশে থাকা সাজেদাকে বল বাড়িয়ে দেন। সাজেদা শট নিলেও সেটি রুখে দেন লেবাননের গোলরক্ষক। সেখান থেকে বল পেয়ে যান তহুরা খাতুন। তিনি বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি।
২৩ মিনিটের মাথায় তহুরা খাতুন জোড়া গোল পূর্ণ করলে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৩-০ ব্যবধানে। এ সময় বাংলাদেশের অর্ধ থেকে লম্বা পাসে লেবাননের ডি বক্সের ডানপ্রান্তে বল বাড়িয়ে দেন সহ-অধিনায়ক আঁখি খাতুন। সেখানে বল পেয়ে যান তহুরা। বল নিয়ে ঢুকে পড়েন ডি বক্সের মধ্যে। লেবাননের গোলরক্ষক সামনে এগিয়ে আসেন। তহুরা তাকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান।
২৭ মিনিটে আনাই মোগিনি গোল করে ব্যবধান করেন ৪-০। এবারও সেই আঁখি খাতুনের লম্বা পাস। ডানপ্রান্তে দৌড়ে বলের দখল নেন আনাই। পার্শ্বরেখা ধরে সামনে এগিয়ে যান। গোলরক্ষকও সামনে এগিয়ে আসেন। তার পায়ের নিচ দিয়ে বল জালে পাঠান আনাই মোগিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়িয়ে নেন স্বাগতিক কিশোরীরা। ৪৮ মিনিটে লেবাননের এক ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে ছোট শামসুন্নাহার গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে ব্যবধান ৬-০ করেন।
৬৩ মিনিটে আবার ছোট শামসুন্নাহারের গোল। সুলতানার নিচু ক্রস ধরে গোল করেন এ ফরোয়ার্ড। বাংলাদেশ ব্যবধান ৮-০ করে ৭৫ মিনিটে। বদলি ইলামনির পাস থেকে গোল করেন আরেক বদলি রোজিনা আক্তার।