সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে এক ম্যাচ জিতেই। তাই এবার সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ নারী ফুটবলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দিকে চোখ বাংলাদেশের। প্রতিপক্ষ নেপাল। ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে ম্যাচটি।পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতে বি-গ্রুপ থেকে বাংলাদেশ ও নেপাল দু’দলই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। আজকের ম্যাচটি তাই শুধুই গ্রুপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। যে দল জিতবে, তারাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শেষ চারে যাবে। নেপালের বিপক্ষে জয়ের ব্যাপারে দারুণ আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।
সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপেও নেপালকে এই ভুটানের মাটিতে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। সেই দলের অনেক খেলোয়াড়ই রয়েছে অনূর্ধ্ব-১৮ দলে। ছোটন তাই আশাবাদী জয়ের ব্যাপারে। তার কথায়, ‘নেপালকে হারিয়ে আমরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’
তবে পাকিস্তানের মতো গোলপ্রসবা ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ বাংলাদেশ যেখানে পাকিস্তানের জালে ১৭ গোল দিয়েছে, সেখানে নেপাল দিয়েছে ১২টি গোল। শক্তির বিচারে বাংলাদেশের চেয়ে খানিকটা পিছিয়ে হিমালয়কন্যারা।
নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে কাল অনুশীলন করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। সকালের সেশন কিছুটা দেরিতে শুরু করলেও বিকেলে মাঠের অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছেন মৌসুমি, কৃষ্ণারা। একদিনের ব্যবধানে দুটি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে তাদের।
তাই রিকোভারির বিষয়টিও মাথায় ছিল ছোটনের। সকালের সেশনের শিষ্যদের হালকা অনুশীলন করিয়েছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর ফুরফুরে মেজাজেই রয়েছে মেয়েরা। দলে ইনজুরি এবং কার্ডের কোনো সমস্যা নেই। সাফের এই আসরটি যে বছরের শেষ ভাগে অনুষ্ঠিত হবে সেটা জানা ছিল বাংলাদেশের।
সেভাবেই প্রস্তুতি সেরেছেন কোচ গোলাম রব্বানী। অনূর্ধ্ব-১৫ দলের পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-১৮ দল নিয়েও নিয়মিত অনুশীলন করিয়েছেন। শিষ্যদের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় ব্যবধানের
জয়ই তার প্রমাণ। বাংলাদেশ যদি আজ নেপালকে হারাতে পারে তাহলে সেমিফাইনালে সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হিসেবে ভুটানকে পাওয়ার কথা। যদি তাই হয় তাহলে সাফের আরেকটি ফাইনালে যে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, সে কথা আগেভাগে বলে দিলে মোটেও অত্যুক্তি হবে না!
তবে সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ যেই হোক সেটা নিয়ে আপাতত ভাবনা নেই বাংলাদেশ কোচের। ছোটন বলেন, ‘প্রথমে আমরা নেপালকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। এরপর সেমিফাইনালে কাদের সঙ্গে লড়ব, তা নিয়ে ভাবা যাবে।’