Monday , 23 December 2024
নিউজ টপ লাইন
রোহিঙ্গাদের প্রথম ধাপের প্রত্যাবর্তন নভেম্বরের মাঝামাঝিতে

রোহিঙ্গাদের প্রথম ধাপের প্রত্যাবর্তন নভেম্বরের মাঝামাঝিতে

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। ছবি: সংগৃহীত

রাখাইনে নিপীড়নের শিকার হয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রথম দলটিকে নভেম্বরের মাঝামাঝি প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।

রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় দুই দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে গত বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও এই প্রথম প্রত্যাবাসন শুরুর একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করা হল।

বৈঠকে বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। আর মিয়ানমারের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে।

পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে শহীদুল হক বলেন, আশা করছি- নভেম্বরের মাঝামাঝি আমরা প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারব। এটি হবে প্রথম গ্রুপ।

তিনি জানান, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপে মিয়ানমারের দুই সদস্য বুধবার কক্সবাজারে যাবেন। তারা রোহিঙ্গাদের বোঝাবেন যাতে তারা রাখাইনে ফিরে যায়। রাখাইনে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার যেসব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সে কথাও বলবেন।

মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে বলেন, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে আন্তরিক ও খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। কিছু বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তও হয়েছে।

তিনি বলেন, উত্তর রাখাইন রাজ্যে কোনো ধরনের বৈষম্য যেন না হয়, সে জন্য স্থানীয় কর্মকর্তা আর পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ফিরে যাবেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ আমরা সেখানে নিয়েছি।

শহীদুল হক বলেন, প্রত্যাবাসন একটি জটিল প্রক্রিয়া। তবে দুই দেশের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে এ সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ সেভাবেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এক পর্যায়ে মিন্ট থোয়ে বলেন, আমরাও রাজনৈতিক সদিচ্ছা, নমনীয়তা ও সমঝোতার মনোভাব দেখিয়েছি বৈঠকে, যাতে সম্ভব দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় গত ফেব্রুয়ারিতে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রথম তালিকায় ১৬৭৩ পরিবারের আট হাজার দুজন রোহিঙ্গার নাম পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ।

ওই তালিকা যাচাই করে মিয়ানমার তাদের স্বীকার করে নিয়েছে বলে গত ১৫ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

চুক্তি করার সময় দুই বছরের মধ্যে সাত লাখের মতো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্য ঠিক করা হলেও মাত্র আট হাজারের প্রথম তালিকা যাচাই করতেই মিয়ানমার সরকার সময় নিয়েছে প্রায় ৯ মাস।

গত কয়েক দশকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মিলিয়ে মিয়ানমারের প্রায় ১১ লাখ নাগরিক বাংলাদেশে থাকলেও চুক্তি অনুযায়ী আপাতত শুধু নতুন আসা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে।

গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে রাখাইনে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আগে থেকে আরও চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

সর্বশেষ নিউজ

ফেসবুক পেইজ The Daily Neighbour

ডেইলি নেইবার আর্কাইভ

October 2018
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
Scroll To Top