জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে ‘আলোচনায়’ বসছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন এ জোটকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সংলাপের আহ্বান জানিয়ে ঐক্যফ্রন্ট যে চিঠি দিয়েছিল সে আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসায় আওয়ামী লীগের চিঠি নিয়ে যায় আবদুস সোবহান গোলাপের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। চিঠিটি ড. কামাল হোসেন গ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘অনেক সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সংবিধান সম্মত সকল বিষয়ে আলোচনার জন্য আমার দ্বার সর্বদা উন্মুক্ত। তাই আলোচনার জন্য আপনি যে সময় চেয়েছেন, সে পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ০১ নভেম্বর ২০১৮ তারিখ সন্ধ্যা ৭টায় আপনাকে আমি গণভবনে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে গণভবনে আলোচনায় কারা যাবেন ঐক্যফ্রন্টের মঙ্গলবারের সভায় সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে রোববার সংলাপের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর চিঠি পাঠায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। চিঠিতে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে ক্ষমতাসীন দলকে অর্থবহ সংলাপে বসার আহ্বান জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
এরপর সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা নিশ্চিত করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন। আওয়ামী লীগ থেকে প্রধানমন্ত্রী নিজেই এর নেতৃত্বে দেবেন।