ঢাকার টঙ্গী ইজতেমা মাঠে দাওয়াতে তাবলিগের বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি জোড়কে কেন্দ্র করে মাওলানা সাদের অনুসারীদের হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হেফাজতের ইসলাম বাংলাদেশ।
রোববার সন্ধ্যায় হেফাজত আমীরের আল্লামা শাহ আহমদ শফী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে ইজতেমা মাঠে সংঘটিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। এ সময় সাদের অনুসারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। যুগান্তরকে বিষয়টি মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেন হেফাজতের প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ আনাস মাদানী।
তিনি জানান, সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও উপজেলায় বিকাল ৪টায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল করবে হেফাজত ও কওমীপন্থি সাদ বিরোধী আলেম-ওলামারা।
এছাড়া দেশের প্রত্যেক মসজিদে দোয়া কর্মসূচি পালনের জন্য সর্বস্তরের আলেম উলামা, তাবলিগী সাথী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি হেফাজত আমীর আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা শেখ আহমদ, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মুফতী জসীমুদ্দীন, মাওলানা ওমর, মাওলানা ইয়াহয়া, মাওলানা ফোরকান আহমদ, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মাদ আনাস মাদানীসহ তাবলিগের স্থানীয় মুরব্বি ও সাথীগণ।
হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি জানিয়ে বৈঠকে আল্লামা আহমদ শফী বলেন, রোববার সকাল থেকে মাওলানা সাদের অনুসারীরা টঙ্গীর মাঠ দখল করার জন্য মাঠে অবস্থানরত জোড়ারে ইন্তাজামে কর্মরত নিরীহ-নিরস্ত্র তাবলিগী সাথী এবং মাদ্রাসা ছাত্রদের ওপর লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলায় একাধিক সাথী শহীদ ও তিন শতাধিক সাথী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা দেশের ইতিহাসে ঘটেনি। আমি মনে করি, এটি সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত। শান্তিপূর্ণভাবে বিশ্বব্যাপী দাওয়াতের কাজকে স্তব্ধ করা এবং মুসলমাদের মাঝে বিভেদ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য এ হামলা চালানো হয়।
আল্লামা শফী বলেন, সম্মিলিত উলামায়ে কেরাম মাওলানা সাদের অনুসরণ বৈধ নয় বলে ফতোয়া দেয়ার পরও কুরআন সুন্নাহর মনগড়া অপব্যাখ্যাকারী, আম্বিয়া ও সাহাবাদের শানে কটূক্তকারী নেজামুদ্দিনের স্বঘোষিত আমির মাওলানা সা’দের ইতাআতের নামে আক্রমণকারীরা হামলা চালিয়েছে।
হেফাজতে আমীর বলেন, তারা যে ষড়যন্ত্রকারী ইতিমধ্যে বিষয়টি সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ ছাড়াও টঙ্গী মাঠে পূর্বের মতো শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এবং জোড় ও বিশ্ব ইজতেমার পূর্ব ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত করার জন্য সরকার, প্রশাসন ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।