দেশজুড়েই এখন আলোচনার বিষয় বৃষ্টি। কখন বৃষ্টি আসছে, কতদিন থাকবে, গরম কি কমবে- এমন নানা প্রশ্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের ফেসবুক পাতায় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলসমূহ দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনের পূর্বাভাস দিয়েছে। তাতে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা বলা আছে।
এর মধ্যে প্রথম দিন বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলছে আবহাওয়া অফিস।
ঢাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ৬০ শতাংশ, বিকাল থেকে মেঘ থাকবে, এরপর সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক।
তিনি জানিয়েছেন, এখনকার বৃষ্টির সময়কাল থাকে খুব কম, আধা ঘণ্টা থেকে বড়জোর দুই ঘণ্টা, এর মধ্যে বৃষ্টি শেষ হয়ে যায়, আবার রোদ ওঠে। ফলে তাপমাত্রা এখনই খুব একটা কমছে না।
চট্টগ্রামে যেমন সকাল থেকে আকাশে মেঘ থাকলেও সাড়ে ৯টা নাগাদ খানিকটা বৃষ্টি পড়তে দেখা যায়, তবে সেটার স্থায়িত্ব ছিল খুবই কম। ২-৩ মিনিট বৃষ্টি হয়েছে।
শুধু চট্টগ্রামে না, সিলেটেও বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির কথা জানা গেছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর গত ২৪ ঘণ্টায় যে বৃষ্টিপাতের বিবরণ দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে দেশের উত্তরবঙ্গের জেলা রংপুর, দিনাজপুর ও সৈয়দপুরের কিছু এলাকায় সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সিলেট অঞ্চলেও সামান্য বৃষ্টিপাতের কথা বলা আছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, কক্সবাজার ও একেবারে দক্ষিণে সুন্দরবন ঘেঁষে হালকা বৃষ্টিপাতের কথা উল্লেখ করেছে আবহাওয়া অফিস।
তবে যথারীতি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গাতেই ৪২.৮ ডিগ্রি, আর বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দেখা যায় তেঁতুলিয়ায় ১৯.৭ ডিগ্রি।
তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, ৪ মের পর পাঁচ দিন সারা দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বিস্তার লাভ করতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে। ৫ তারিখ থেকে তাপমাত্রা কমে গিয়ে সহনশীল হওয়ার সম্ভাবনা, যা ৯ তারিখ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম বলেন, এ সময় প্রতিদিন বজ্রঝড় থেকে কাক্ষিত বৃষ্টি হতে পারে। সেই বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে, তবে টানা নয়, থেমে থেমে বৃষ্টি হবে।
তিনি আরও জানান, মে মাসে গড় বৃষ্টিপাত হবে ১৩ দিন।
ড. আবদুল মান্নান জানান, সিলেটে যেহেতু গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে, আর শুধু সিলেট নয়, ওখানে ওপরের দিকে ভারতীয় অঞ্চলেও বৃষ্টি হচ্ছে, সেজন্য বন্যার একটা শঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের যে পরিমাণ তা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি নয় বরং কম; কিন্তু আজ থেকে যদি ক্রমাগতভাবে প্রতিদিন অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয় তবে সাময়িকভাবে বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেজন্য ৫ দিন টানা বৃষ্টি হতে হবে বলে জানান তিনি।