গত এপ্রিল মাসজুড়ে বিভিন্ন জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের কারণে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় যশোরে। এছাড়া প্রায় দেশের সর্বত্র তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রীর উপরে। আর রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে গত দুইদিণ ধরে বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হওয়ায় চলতি মে মাসের শুরু থেকেই কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। ফলে ঢাকাসহ সারা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমতে থাকে। তাপমাত্রা কমার এ ধারাবাহিকতায় ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৩০ ডিগ্রির নিচে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত শুক্রবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পরের দিন শনিবার যা নেমে আসে ৩৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রোববার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার পর্যন্ত ঢাকায় তাপপ্রবাহ থাকলেও সোমবার তা নেমে আসে ৩০ ডিগ্রির নিচে। ওইদিন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে প্রায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে সোমবার (৬ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও প্রায় তিন ডিগ্রি কমে যায়। ওইদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৭.৬ ডিগ্রি, যা আগের দিন রোববার ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারিপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিমি বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তার আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী জেলায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামে ১২৯ মিলিমিটার।