নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা রবিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে বেশ কয়েকটি দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। এদের মধ্যে বিএনপি ১৫ দিন নির্বাচন পেছানোর দাবি জানায়। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার কমিশনে আলোচনা হয়।
নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আগেও বলেছি, নির্বাচনে খুব স্বল্প সময় পেয়েছি। তবুও তারা (রাজনৈতিক দল) যেহেতু আবেদন করেছেন, তাই আমরা আবারও সবাই মিলে বসেছিলাম। যারা নির্বাচনে সহায়তা করেন তাদের সঙ্গেও আলোচনা করেছি, নির্বাচন একদিনও পেছানো যায় কিনা। কিন্তু আমরা দেখলাম যায় ‘না’।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আরও আগে করতে চেয়েছিলাম। ২০ ডিসেম্বর করতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু সে সময় পাইনি। গেজেট প্রকাশের পর খুব কম সময় ছিল। তারপরও শেষ সময়ে যেটুকু না রাখলেই নয়, সেটুকু সময় রাখা হয়েছে। সে হিসেবেই নির্বাচনের দিন ধার্য করেছি। এর বাইরে নির্বাচন করতে হলে আইনের বাধ্যকতা মানতে পারবো না।’
এমপিদের প্রচারণার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক দলের মন্তব্য ও তাদের দাবিগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। প্রত্যেকটি আমরা খুঁটিয়ে দেখেছি। সংসদ সদস্যরা প্রচারণায় নির্বাচনী অংশ নিতে পারবেন কিনা- তা গভীরভাবে বিবেচেনা করেছি। কিন্তু আমরা যে আচরণবিধি জারি করেছি, সেটা এই মুহূর্তে পরিবর্তন করা সমীচীন হবে না।’
দলীয় প্রধান হিসেব শেখ হাসিনা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আইনে পরিষ্কার বলা আছে।’
নির্বাচনী আচরণবিধিতে দলীয় প্রধানদের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার সুযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে দলীয় প্রধানের প্রচারে হেলিকপ্টার পর্যন্ত ব্যবহারও করতে পারবেন। তবে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, উপনেতা, মন্ত্রীসহ সমপর্যায়ের সুবিধাভোগী ব্যক্তি, এমপি, সিটি মেয়রদের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
একটি দলের শীর্ষ নেতারা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন, অন্যরা পারবেন না। এটা কি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় থাকলো? এটা কাদের ভুলের কারণে হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা ভুল নয়, শুধু পরিমাপ করা। এটা শেষ নির্বাচন নয়, আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করবো। যদি দেখি কোনোটা সঠিক হচ্ছে না। তাহলে সামনের নির্বাচনে শুধরাবো।’
জামায়াত নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থীতেও বিধিনিষেধ আরোপে ওয়ার্কার্স পার্টি যে দাবি জানিয়েছেন, তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আইন খুব পরিষ্কার। নিবন্ধিত দল দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে। তবে কোনো দলের নিবন্ধন বাতিল হলে দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবে না। তবে নিবন্ধন বাতিল হলেও তাদের দলতো বাতিল হচ্ছে না। কাজেই তারা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন না।