Monday , 23 December 2024
নিউজ টপ লাইন
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিজয় উৎসব শুরু

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিজয় উৎসব শুরু

স্টাফ রিপোর্টার :  ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহান বিজয় দিবস উদযাপন কমিটি আয়োজিত দিনব্যাপী ‘বিজয় উৎসব’ শুরু হয়েছে। ‘সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, ও দুর্নীতির সঙ্গে কোনো আপোষ নয়’স্লোগানে বুধবার সকালে বিজয় উৎসবের উদ্বোধন করেন সাবেক বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, উৎসবের আহ্বায়ক ড. আবুল বারাকাত এবং মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিনী।

উদ্বোধকের বক্তব্যে এবিএম খায়রুল হক বলেন, ‘আজ আমাদের হাসির দিন, কান্নার দিন। আমাদের ঘরে ফেরার দিন। মুক্তির আলোয় উদ্ভাসিত হওয়ার দিন। ৭ মার্চ ও পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পনের জায়গাটিকে চিহ্নিত করতে হবে। আমরা ইতিহাসবিমুখ জাতি। ইতিহাস সংরক্ষণ না করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানবে না কি অসীম সাহসী যোদ্ধারা বিশ্বের অন্যতম সেরা সেনাবাহিনীকে হারিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিল।

তিনি বলেন, ‘এবারের বিজয় দিবস নতুন স্বপ্ন নিয়ে আসুক, সুদূরপ্রসারী কাজ করার সাহস তৈরি হোক। স্বপ্ন দেখতে হবে দেশ গড়ার, সবাই মিলে এক সঙ্গে কাজ করে দেশকে গড়ে তুলতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘একাত্তরে গণহত্যা ইতিহাসে বিরল। পাকিস্তানের সেই গণহত্যার বিচার করার জন্য তথাকথিত নির্বাচিত পাকিস্তানী সরকার ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিল। কিন্তু তারা সে বিচার করেনি। সেই সময়কার গণহত্যাকারী পাকিস্তান ও বর্তমান রাষ্ট্র পাকিস্তানের কোনো পার্থক্য নেই। এ সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের সাথে শিক্ষা-সংস্কৃতি-ক্রীড়া সম্পর্ক রাখা সম্ভব নয়। এ কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিঃস্বার্থ ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের কাছে আহ্বান জানাবো পাকিস্তানের সঙ্গে কুটনীতিক সম্পর্ক ছেদ করার। সেই সঙ্গে সার্ক ও জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রত্যাহার করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সরকারকে আহবান জানায়।’

অনুষ্ঠানে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী বলেন, ‘এবার তাৎপর্যপূর্ণ বিজয় উৎসব পালন করছি। শীর্ষস্থানীয় দুস্কৃতকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের রায় হয়েছে। সুন্দর আগামী প্রত্যাশা নিয়ে বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। এতে করে শহীদদের পরিবাররা কিছুটা হলেও শান্তি পাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পাশাপাশি জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে নির্যাতনকারী পাকিস্তানী সেনাদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাই।

দিনব্যাপী ‘বিজয় উৎসব’এ ৪টা ৩১ মিনিটে সম্মিলিত কণ্ঠে গীত হবে জাতীয় সঙ্গীত। এরপর তরুণ প্রজন্মকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন বরেণ্য সাংবাদিক ও কমিটির প্রধান উপদেষ্টা আবদুল গাফফার চৌধুরী। এরপর স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পীদের কণ্ঠে গীত হবে বিজয়ের গান, ৫টা ২০ মিনিটে বিজয় আতশবাজি এবং ৫টা ৪০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে জনপ্রিয় ব্যান্ডদলের অংশগ্রহণে ‘কনসার্ট ফর ফ্রিডম’।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

সর্বশেষ নিউজ

ফেসবুক পেইজ The Daily Neighbour

ডেইলি নেইবার আর্কাইভ

December 2015
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
Scroll To Top