এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সিলেট সফরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জনসভাস্থল ও নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে বসানো হয়েছে অর্ধশতাধিক সিসি ক্যামেরা বসানো ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ৬ স্তরের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, জনসভার স্থলসহ আশপাশের প্রধান প্রধান সড়কের পাশে অর্ধশতাধিক সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। মঙ্গলবার থেকে এ ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়। এ ছাড়া ১ সপ্তাহ থেকে পুলিশ ও ১ মাস আগ থেকে গোয়েন্দা বিভাগ মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে সিলেটে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে সিলেট বিভাগজুড়ে নেতাকর্মীরা প্রচার প্রচারণা ও কর্মীসভায় ব্যস্ত দিন কাটিয়েছেন। প্রায় প্রতিদিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থল সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ পরিদর্শন করছেন সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা।
অপরদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আশা প্রকাশ করেছেন সিলেট আওয়ামী লীগের নেতারা। বুধবার দুপুরে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, বিগত ৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকার সারা দেশের ন্যায় সিলেটে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। বর্তমানেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আলিয়া মাঠের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন। তার বক্তব্য শুনতে সিলেটের চারটি জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষ উপস্থিত হবেন। ওই জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার সিলেট সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মদন মোহন কলেজের ৭৫ বছর পূর্তি উৎসবে যোগদানের পাশাপাশি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। এ ছাড়া সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবন, আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স, সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালে রূপান্তর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় লাইব্রেরী ভবন, জৈন্তাপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, এপিবিএন’র ব্যারাক ভবন, ওসমানীনগর থানা ভবন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নির্মিত হোস্টেল ভবন, নগরীর মাছিমপুর এলাকার সুরমা নদীর তীরে নির্মিত ওয়াকওয়ে, এমসি কলেজের মাঠের সীমানা প্রাচীর ও গেইট উদ্বোধন করবেন।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তামাবিল স্থলবন্দর নির্মাণ কাজ, সিলেট আউটার স্টেডিয়াম, খসরুপুর বাজার জিসি-পৈলনপুর-বালাগঞ্জ জিসি সড়ক উন্নয়ন, হরিপুর জিসি-গাছবাড়ী জিসি সড়ক (কানাইঘাট অংশ), মৈয়াখালী বাজার-আর এন্ড সুইচ (বারোহাল ইউপি অফিস) ভায়া হাটুবিল মাদ্রাসা সড়ক উন্নয়ন, নারী পুলিশ ডরমেটরী ভবনের সম্প্রসারণ কাজ, শাহপরাণ থানা ভবন নির্মাণ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিভাগীয় ও জেলা অফিস নির্মাণ, সিলেট বিভাগীয় ও জেলা এনএসআই কার্যালয় ভবন নির্মাণ, হযরত গাজী বোরহান উদ্দিন (রহ.) মাজার, ৩ তলা বিশিষ্ট মসজিদ, মহিলা এবাদতখানা ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) সিলেট বিভাগ এবং সিভিল সার্জন সিলেট কার্যালয় ভবন নির্মাণ কাজের।
সিলেটে পৌছে প্রথম হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজার জিয়ারত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।