জঙ্গি ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে বিএনপির জাতীয় ঐক্য গড়ার প্রক্রিয়ায় জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি নেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনেরা এই মতামত দেন।
জঙ্গি ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে বিএনপির জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে পরিস্থিতি পর্যালোচনা, করণীয় ও পরামর্শ নিতে তাদের সঙ্গে এই বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রাত সাড়ে ৮টায় বৈঠকটি শুরু হয়ে চলে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত।
বৈঠকে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আহ্বানকে স্বাগত জানানো হয়।
বৈঠক সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া বিশিষ্টজনদের কাছ থেকে জাতীয় ঐক্য গড়ার বিষয়ে পরামর্শ চান। বিশিষ্টজনেরা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে আওয়ামী লীগসহ সব দলকে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। প্রয়োজনে আওয়ামী লীগকে বিএনপির পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়ার প্রস্তাবও আসে। তবে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টিতে যদি জামায়াতকে ছেড়েও দিতে হয় বিএনপির তা করা উচিত বলেও মতামত দেন বৈঠকের কেউ কেউ।
ওই সূত্র জানায়, ব্যারিস্টার রফিকুল হক সরাসরিই জামায়াতকে ছেড়ে দিতে বলেন। তবে ডা. জাফরুল্লাহ জামায়াতকে একাত্তরের অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলে মন্তব্য করেন। বিষয়টি এমন হলে দলটি জাতীয় ঐক্যের ক্ষেত্রে কোনো বাধা হতে পারেনা বলেও মতামত দেন তিনি।
বৈঠকে বিশিষ্টজনেরা বিএনপিকে ভারত সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে বিএনপিকে কর্মসূচি দিতে বলেন। দলের যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দ্রুত স্থায়ী কমিটি ঘোষণারও পরামর্শ দেন বিশিষ্টজনেরা। বর্ষাকালের পরে জেলায় জেলায় সফর করতে বিএনপি নেত্রীর প্রতি আহ্বানও জানান তারা।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন।
এ ছাড়া সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনদের মধ্যে রুহুল আলম চৌধুরী, রাজিয়া আক্তার বানু, মোস্তাহিদুর রহমান, আমজাদ হোসেন, গাজী মাযহারুল আনোয়ার, মহিউদ্দিন আলমগীর (সম্পাদক দৈনিক নয়াদিগন্ত), এ জেড এম তাহমিনা, আমির খসরু, আবুল আসাদ (সম্পাদক দৈনিক সংগ্রাম), ড. সদরুল আমিন, ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, ড. বোরহান উদ্দিন খান, আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, আ ন হ আকতার হোসেন, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, আনোয়ারুন-নবী বাবলা, কৃষিবিদ হাসান জাফরি তুহিন, শওকত মাহমুদ, রুহুল আমিন গাজী, এ এস এম আবদুল হালিম, সুজাউদ্দিন আহমেদ, আবদুল কাইয়ুম, খন্দকার মাহবুব হোসেন, সানাউল্লাহ মিয়া, বোরহান উদ্দিন, ড. মামুন আহমেদ, ড. ওবায়েদ, আবদুল আউয়াল মিন্টু, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছিলেন।
এর আগে বুধবার জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে দলের শীর্ষ নেতা এবং ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া।
উৎসঃ রাইজিংবিডি