নিজস্ব প্রতিবেদক:
অলিভ অয়েল নামটা কম-বেশি সবার কাছেই পরিচিত। এর গুণাবলীরও শেষ নেই। খাবার থেকে শুরু করে রূপচর্চাসহ সব ক্ষেত্রেই এর অবস্থান। এছাড়া রান্নাতেও এর ব্যবহার রয়েছে। চলুন জেনে নেই অলিভ অয়েলের তেমনই অজানা আরো কিছু গুণ।
ত্বকের বলিরেখা দূর করতে
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে কপালে, চোখের পাশে ও নিচে চামড়ায় হালকা ভাঁজ দেখা দেয়। এই বলিরেখা দূর করতে ২ চামচ অলিভ অয়েলের সাথে সামান্য এলোভেরা অয়েল মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে তা চলে যাবে।
চুলের সৌন্দর্যে
চুলের যত্নে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। একটি ডিম ও ২ চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে ভালো মতো ফেটিয়ে নিন। তারপর পেস্টটি আপনার চুলে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট পর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
মেকআপের সময়
সাজসজ্জার সময় অনেকেই মেকআপে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে। মুখে দেয়ার আগে তাতে ১-২ ফোঁটা অলিভ অয়েল মুখে দিয়ে নিন, তাহলে ফাউণ্ডেশন দেওয়ার পর ত্বক খুব উজ্জ্বল দেখাবে। তবে এটা কেবল শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রযোজ্য।
মেকআপ পরিষ্কার করতে
মুখ থেকে মেকআপ তুলতে রীতিমতো ত্বকের সাথে যুদ্ধ করতে হয়। কিন্তু অলিভ অয়েল দিয়ে খুব সহজেই মুখের সমস্ত মেকআপ তুলে নেয়া যায়। মেকআপ তোলার সময় কটন বলে সামান্য অলিভ অয়েল নিয়ে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করুন। দেখবেন সমস্ত মেকআপ উঠে যাবে।
ঠোঁটের যত্নে
লিপবাম, ভেসলিনের বদলে ঠোঁটে অলিভ অয়েলও ব্যবহার করা যায়। রাতে ঘুমানোর আগে পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে ঠোঁট পরিষ্কার করে তারপর অলিভ ওয়েল লাগান। লিপস্টিক লাগানোর আগেও সামান্য অলিভ অয়েল নিলে ঠোঁট নরম থাকবে।
পায়ের যত্নে
পায়ের যত্নে অলিভ অয়েলের ব্যবহার অতুলনীয়। পায়ের যত্নে ১ চামচ লবণ নিয়ে তাতে পরিমাণমতো অলিভ ওয়েল মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে পায়ে ম্যাসাজ করুন। ভালো ফল পাবেন।
ওজন কমাতে
শরীরের ওজন কমাতে অলিভ অয়েল খেতে পারেন। এছাড়া সকালে নাস্তার আগে ২ চামচ অলিভ ওয়েল খেয়ে নিন, এতে হজম শক্তি বাড়বে।
ত্বকে ময়েশ্চারাইজ আনতে
হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে পরে তুলাতে সামান্য অলিভ অয়েল লাগিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ১০-১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে তা দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এবার শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন। গোসল করার পর সামান্য পানির সাথে অলিভ ওয়েল মিশিয়ে সারা শরীরে ম্যাসাজ করলে কিন্তু দারুণ ময়েশ্চারাইজারের কাজ করবে।