নিজস্ব প্রতিবেদক :
ক্রেতারা বলছেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা অস্থির করে তুলেছে চিনির বাজার। নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়েছে চিনির।
রমজানের শুরুতে চিনির কেজি ছিল ৬২ টাকা। রমজানের শেষের দিকে ৭০ টাকা। আর এখন চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকা করে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর কাটাসুর নামা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ৭০ টাকা দরে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে। এখানকার মুদি ব্যবসায়ী মুহাম্মদ সোহাগ জানান, রোজার শুরুতে চিনির দাম ছিল ৬২ টাকা। শেষের দিকে ৭০ টাকা আর এখন ৭২ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
চিনির দাম না কমায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সজীব স্টোরের পরিচালক সারোয়ার রহমান। তিনি বলেন, ‘রোজার শেষের দিকে চিনির দাম বেড়েছে। আর কমছে না। চিনি দামটা নাগালের ভিতরে আসা দরকার। পাইকারী যে দরে কিনছি, খুচরাও তার থেকে এক টাকা বেশি দরে বিক্রি করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা একটু চিনির দাম নিয়ে লেখালেখি করেন। যাতে একটু চিনির দাম কমে।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, যান্ত্রিক ত্রুটিতে মিল বন্ধ থাকা, মিল গেটে দিনের পর দিন ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখা, শুল্ক বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণ দেখিয়ে কয়েক দফায় চিনির দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, চিনির দাম বাড়লেও অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুকনা মরিচের কেজি ১৬০ টাকা, ধনিয়া ১০০ টাকা, দারুচিনি ৩০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
মোহাম্মদপুর কাঁচা বাজারের আলম স্টোরের পরিচালক আলম জানান, মরিচ ও হলুদের গুড়া ২০০ টাকা করে কেজি। এলাচের ১ হাজার ৪০০ টাকা ও জিরা ৩৯০ টাকা। চাল মিটিকেট ৪২ টাকা, গুডিস্বর্না ৩২ টাকা ও আটাশ চাল ৩৫ টাকা কেজি।
কাটাসুর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ডিমের হালি ৩০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডাল ১০৫ টাকা। দেশি ডাল ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।