Friday , 3 May 2024
নিউজ টপ লাইন
ক্ষমতার ভারসাম্য চায় ঐক্যফ্রন্ট

ক্ষমতার ভারসাম্য চায় ঐক্যফ্রন্ট

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুই প্রধান জোটেই চলছে ইশতেহার ঘোষণায় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মহাজোটের প্রধান দল আওয়ামী লীগ তাদের ইশতেহার ঘোষণা করবে ১৮ ডিসেম্বর। অন্যদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার আসছে একদিন আগে, ১৭ ডিসেম্বর

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য ও পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে না থাকার প্রতিশ্রুতি দেবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত উপকমিটির খসড়ায় এ অঙ্গীকার করা হয়েছে। তবে খসড়া ইশতেহারে নির্বাচনী স্লোগান এখনও নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানা গেছে।

একই সঙ্গে ইশতেহারের খসড়ায় নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা, প্রশাসনিক সংস্কার ও বিকেন্দ্রীকরণ, মৌলিক অধিকার রক্ষায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল, চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানো, নারীর নিরাপত্তা এবং ক্ষমতায়ন, সংসদের

উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। নির্বাচিত হতে পারলে পাঁচ বছর মেয়াদি শাসনকালে যেসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা যাবে সেগুলোর ওপর জোর দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের একক ইশতেহারে স্লোগান নির্ধারণে বিভিন্ন দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে স্লোগান চাওয়া হয়েছে বলে খসড়া উপকমিটির এক সদস্য জানান। তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে স্লোগান নেওয়ার পর তা স্টিয়ারিং কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হবে। পরে শীর্ষ নেতারা নির্দিষ্ট স্লোগান নির্ধারণ করবেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পরে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা এটি চূড়ান্ত করবেন। জোটের স্টিয়ারিং কমিটির অনুমোদন পাওয়ার পর আগামী ১৭ ডিসেম্বর ইশতেহার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সমকালকে বলেন, গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনার বিষয়টিকে নির্বাচনী ইশতেহারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধন থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করার বিষয়ও থাকবে। আইনের শাসন নিশ্চিত করার ওপর সার্বিকভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া সম্ভাবনাময় যুবসমাজকে মানবসম্পদে পরিণত করার জন্য কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টির বিষয়ও গুরুত্ব পাবে ইশতেহারে। এর বাইরে জেন্ডারবৈষম্য দূর করা, পরিবেশবান্ধব সবুজ বাংলা গড়া, ক্রিয়েটিভ শিল্পায়ন ঘটানো, আয়বৈষম্য ঘোচানো, জনগণের করের টাকার সদ্ব্যবহার, পাচারকৃত দুর্নীতির টাকা ফেরত আনা, উন্নয়ন ব্যয় জনগণের উপকারে লাগানো ইত্যাদি বিষয়ও নির্বাচনী ইশতেহারে থাকবে।

ঐক্যফ্রন্ট সূত্র জানায়, তাদের ইশতেহারে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনা, এমনকি ব্যঙ্গ-বিদ্রূপেরও অধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সামাজিক গণমাধ্যমসহ সব গণমাধ্যমের ওপর কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সরকারি নিয়ন্ত্রণ না থাকার বিষয়েও থাকছে স্পষ্ট ঘোষণা। ঐক্যফ্রন্ট বলছে, প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় যুদ্ধাস্ত্র এবং অন্যসব সরঞ্জাম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কেনা হবে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য কল্যাণমূলক প্রকল্প নেওয়া হবে। এ ছাড়া আরও বিস্তারিতভাবে সুশাসন ও গণতন্ত্রকে বিকশিত করতে ইশতেহারে চমক সৃষ্টির উপাদান থাকছে বলে জানিয়েছেন নেতারা।

ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বলেন, প্রচার ও বোঝার সুবিধার্থে একটি সংক্ষিপ্ত ও আরেকটি বিস্তারিত ইশতেহার করা হয়েছে। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পাশাপাশি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটও পৃথক ইশতেহার তৈরি করছে। বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা জানান, এই দুই ইশতেহারকে সমন্বিত করে চূড়ান্ত ইশতেহার করা হবে।

ইশতেহার কমিটির প্রধান ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ইশতেহার কমিটিতে ঐক্যফ্রন্টের সব শরিক দলের প্রতিনিধি আছেন। প্রত্যেকের প্রস্তাব সামনে রেখেই ইশতেহার তৈরি হচ্ছে। ইশতেহারের বিষয়বস্তু সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য ছাড়াও সব সংসদীয় কমিটিতেও ভারসাম্য আনার প্রস্তাব করেছেন। জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার বিরোধী দল থেকে হবে। প্রতিটি সাংবিধানিক কমিটিতে বিরোধী দল ও নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রদেশ গঠনের বিষয়টিকেও তারা ইশতেহারে আনতে চান।

যা থাকছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংক্ষিপ্ত ইশতেহারে

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য :ক্ষমতার ভারসাম্য এবং প্রশাসনিক ও স্থানীয় সরকার বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের বিধান তৈরি করে মুক্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। নিম্ন আদালতকে সম্পূর্ণভাবে উচ্চ আদালতের অধীন করা হবে। অনাস্থা ভোট এবং অর্থবিল ছাড়া অন্য যে কোনো ক্ষেত্রে দলীয় সংসদ সদস্য দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলেও তাদের পদ শূন্য হবে না এমন সংশোধনী ৭০ অনুচ্ছেদে আনা হবে। সংসদে উচ্চকক্ষ সৃষ্টি করে বিভিন্ন দলের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বিবেচনায় নেওয়া হবে। পর পর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা যাবে না। তবে এ প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে বিএনপির আপত্তি থাকতে পারে বলে ঐক্যফ্রন্ট সূত্র জানিয়েছে। পৌর এলাকাগুলোতে সব সেবা সংস্থাকে মেয়রের অধীনে এনে সিটি গভর্নমেন্ট চালু করা হবে। প্রশাসনিক কাঠামো প্রাদেশিক পর্যায়ে বিন্যস্ত করতে কমিশন করা হবে।

কোটা সংস্কার ও বেকার ভাতা চালু :নির্দিষ্ট কিছু চাকরি, বিশেষ করে সামরিক বাহিনীর মতো চাকরি ছাড়া অন্যান্য চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাতিল করা হবে। পিছিয়ে পড়া জনগণ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা রেখে অন্য সব কোটা বিলুপ্ত করার ঘোষণাও থাকছে। ত্রিশোর্ধ্ব শিক্ষিত বেকারের জন্য বেকার ভাতা চালু করা হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে সব সরকারি শূন্য পদে নিয়োগ হবে।

শিক্ষা :পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হবে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করা হবে। বেসরকারি শিক্ষা পুরোপুরি ভ্যাটমুক্ত থাকবে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষায় কর্মসংস্থান তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হবে। শিক্ষা কার্যক্রম আধুনিক করতে শিক্ষা কমিশন গঠন করা হবে। মোবাইল, ইন্টারনেটের খরচ অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে। দেশের বিভিন্ন গণজমায়েতের স্থানে ফ্রি ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

আইনের শাসন :বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং গুম (এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স) পুরোপুরি বন্ধ করা হবে। রিমান্ডের নামে পুলিশি হেফাজতে যে কোনো শারীরিক নির্যাতন বন্ধ করা হবে। সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেফতার করা হবে না। বিপথগামী রাজনৈতিক কর্মীদের হাত থেকেও নাগরিকরা সুরক্ষিত থাকবে। মামলাজট কমাতে উচ্চ আদালতের বার্ষিক ছুটিও ছয় সপ্তাহে সীমিত করা হবে।

দুর্নীতি দমন :বৃহৎ প্রকল্প, সেবা সংস্থা এবং আর্থিক খাতে দুর্নীতি দমন করে সুশাসন নিশ্চিত করা হবে। বিশেষ ট্রাইব্যুনালে দুর্নীতির তদন্ত করে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। ন্যায়পাল নিয়োগ করা হবে এবং সংবিধান নির্দেশিত সব দায়িত্ব পালনে ন্যায়পালকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে। দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা গ্রেফতারে সরকারের অনুমতির বিধান (সরকারি চাকরি আইন-২০১৮) বাতিল করা হবে। অর্থ পাচার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং পাচার করা অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যাংকিং সেক্টরে লুটপাটে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ব্যাংকগুলোকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সর্বময় ক্ষমতা দেওয়া হবে। সরকারি মদদে শেয়ারবাজারে লুটপাটে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সঠিক ব্যবস্থা ও প্রণোদনার মাধ্যমে শেয়ার বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করে শেয়ারবাজারকে দ্রুত সঠিক গতিপথে নিয়ে যাওয়া হবে।

স্বাস্থ্য :উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোকে পর্যায়ক্রমে ৫০ শয্যার করা হবে। প্রত্যেক জেলায় একটি করে মেডিকেল কলেজ ও ৫০০ শয্যার হাসপাতাল, সকল জেলায় ২০ শয্যাবিশিষ্ট সিসিইউ, ২০ শয্যার আইসিইউ, পুরনো ২১ জেলায় অগ্রাধিকারভিত্তিক একটি করে ২০ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার এবং একটি করে ক্যান্সার কেমোথেরাপি সেন্টার গড়ে তোলা হবে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি :প্রথম বছরে সব গ্রাহকের জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়বে না। সর্বোচ্চ ১০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের বিদ্যুতের মূল্য আগামী পাঁচ বছরে বাড়বে না। গ্রামীণ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প এবং দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালকে বাণিজ্যিক দামের পরিবর্তে হ্রাসকৃত বাসস্থানের দামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

প্রবাসী কল্যাণ :প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে। ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের শ্রমশক্তি রফতানির জন্য নতুন নতুন বাজার বের করা হবে।

নিরাপদ সড়ক ও পরিবহন :নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপরে নৃশংস হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে। বড় শহরগুলোতে ট্রাফিক জ্যাম নিরসনকল্পে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শহরে গণপরিবহনকে প্রাধান্য দিয়ে পরিবহন নীতি প্রণয়ন করা হবে এবং আরামদায়ক গণপরিবহনের ব্যবস্থা করা হবে। রেল খাতকে সম্প্রসারণ করা হবে।

কৃষি :কৃষি ভর্তুকি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাড়িয়ে সার, বীজ এবং অন্যান্য কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করা হবে। কৃষি উৎপাদনকে লাভজনক পেশায় পরিণত করার লক্ষ্যে উৎপাদন খরচের সঙ্গে যৌক্তিক মুনাফা নিশ্চিত করে সব কৃষিপণ্যের মূল্য নির্ধারিত হবে স্থানীয় সমবায় সমিতির মাধ্যমে। নগরবাসী কৃষিপণ্য পাবেন উৎপাদক সমবায় সমিতি নির্ধারিত মূল্যের সর্বোচ্চ তিন গুণ মূল্যে। জলমহাল ও হাওরের ইজারা সম্পূর্ণ বাতিল করে মৎস্যজীবী ও দরিদ্র জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। কৃষিনির্ভর এবং শ্রমঘন শিল্পে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হবে। দেশের দারিদ্র্যপ্রবণ জেলাগুলোতেও শিল্পায়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

নারীর নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়ন :নারীর জন্য সংরক্ষিত আসনের প্রথার পরিবর্তে সরাসরি নির্বাচনের ক্ষেত্রে নারীর জন্য বাধ্যতামূলক ২০ শতাংশ মনোনয়নের বিধান করা হবে। এ বিধানের সঙ্গে পরের দুটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ৩০০ আসনের অতিরিক্ত ১০ শতাংশ সংরক্ষিত নারী সদস্যের বিধান থাকবে। সরকারি পর্যায়ে কর্মজীবী নারীদের সুবিধার জন্য পর্যাপ্ত ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হবে। বেসরকারি ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন করার ক্ষেত্রে খুব সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হবে।

এ ছাড়া অতিদরিদ্র ও দুস্থদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ করা হবে। বয়স্কভাতা, দুস্থ মহিলা ভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তদের ভাতার পরিমাণ এবং আওতা বাড়ানো হবে। শ্রমিক, ক্ষেতমজুরসহ গ্রাম ও শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সুলভ মূল্যে রেশনিং চালু করা হবে। পুনর্বাসন ছাড়া শহরের বস্তিবাসী ও হকারদের উচ্ছেদ করা হবে না। হতদরিদ্র মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, রোহিঙ্গা সমস্যাসহ অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধান এবং দায়িত্ব পাওয়ার এক বছরের মধ্যে মানুষকে ভেজাল ও রাসায়নিকমুক্ত নিরাপদ খাদ্য পাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে এই ইশতেহারে।

ঐক্যফ্রন্ট সূত্র জানায়, খসড়া ইশতেহারে সংখ্যালঘুদের মানবিক মর্যাদা, অধিকার, নিরাপত্তা এবং সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন, তাদের ওপর নির্যাতন প্রতিরোধে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন, কৃষি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত, বিভাগীয় সদরে উচ্চ আদালতের বেঞ্চ স্থাপনের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে আনুষ্ঠানিকভাবে। ১০ নভেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় ঐক্যফ্রন্ট।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top